পুরুষদের চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। তবে চুল পড়ে টাক হয়ে গেলে আত্মবিশ্বাসের সাথে মানসিক শান্তিও নষ্ট হয়। হীনমন্যতাতেও ভোগেন কেউ কেউ। তাই চুল ধরে রাখতে তেল, শ্যাম্পু,হোমিওপ্যাথি, এল্যোপ্যাথি থেকে ভেষজ ওষুধ–কোন কিছুই বাদ রাখেন না। তবুও নিস্তার নেই। তবে গবেষণা বলছে কিছু খাবার দৈনন্দিন তালিকা থেকে ছেঁটে ফেললে চুল পড়া কমানো সম্ভব।
১. ময়দা
ময়দাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা ‘জিআই’ যা শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে চুল ঝরে যাওয়া বেড়ে যায়। তাই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে ময়দার তৈরি খাবার যেমন পাউরুটি, কেক, কুকিজ়, বিস্কুট এবং পিৎজার রুটি। ছাড়াও পরটা, বাকরখানি, শিঙাড়া এবং সেমাইসহ অন্য যেসব খাবারে ময়দা
২. চিনি
অনেকেরই অতিরিক্ত মিষ্টি খাবারে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। দুধ চিনি বেশি ছাড়া অনেকে চা পান করতে তৃপ্তি পান না। ভেবে দেখুন প্রতিদিন অতিরিক্ত চিনি দিয়ে কত কাপ চা পান করছেন এবং তাতে করে কত চিনি দেহে জমা হচ্ছে! অতিরিক্ত চিনি চুল উঠে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে। তাই মিষ্টি খেতে ভাল লাগলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩. মদ্য পান
জাগতিক সব অনুভূতি থেকে কিছু ক্ষণের জন্য বিরতি নিতে, অনেকেই এই সুখসায়রে ভেসে যান। সাময়িক বিরতির ঘোর কাটলেও, দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাস আপনার চুলের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। পরিমিত মদ্যপান করলেও কিন্তু চুলের ফলিকল নষ্ট হতে পারে। অ্যালকোহল চুলে থাকা প্রাকৃতিক প্রোটিন ‘কেরাটিন’ নষ্ট করে। ফলে চুল রুক্ষ এবং দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৪. ভাজাপোড়া
চপ, শিঙাড়া, পাকুড়া, রোল, চিপস, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো খাবার যারা বেশি খান, তাদের চুলের অবস্থা খুব বেশি দিন ভাল থাকার সম্ভাবনা কম। বেশি তেল, লবণ ও ঝাল দিয়ে বানানো খাবার যত কম খাবেন, তত চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এছাড়াও চুলের যত্নে পরিমিত ঘুম, সুষম খাবার প্রয়োজন। বাইরের ধুলোবালি থেকে ঘরে ফিরে এসে অবশ্যই চুল পরিষ্কার ছাড়া ঘুমানো চলবে না।
0 Comments