নাফিসা হোসেন মারওয়া। বয়স সতেরো। টঙ্গীর শাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে ৫ আগস্ট বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন সাভারে।
নাফিসার বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে বাবা আবুল হোসেন থাকতেন টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তি এলাকার আট নাম্বার ব্লকে একটি ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।
নাফিসা রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনে যোগ দেয়। বাবা বিষয়টি জানতে পেরে ১ আগস্ট নাফিসাকেসাভারের বক্তারপুর এলাকার মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে ফের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়।
আন্দোলনরত অবস্থায় ৫ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় নাফিসা। তাকে উদ্ধার করে সহআন্দোলনকারীরা সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানেই মারা যান। হাসপাতাল থেকে বাবাকে ফোনে বলেন, “বাবা আমি মরিয়া যামু, আমার লাশটা নিয়া যাইয়ো। খবর পেয়ে তার বাবা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে আসেন টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায়। রাতেই লাশ দাফন করা হয় এলাকার স্থানীয় গোরস্থানে।
নাফিসার মৃত্যুর পর বাবা আবুল হোসেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকেন কবরের পাশে। মেয়ের প্রিয় জবা ফুল এনে জড়ো করছেন কবরের পাশেই। কখনো কখনো চিৎকার করে কেঁদে উঠেন।
0 Comments