আয়নাঘর কি ও কোথায় অবস্থিত?

আয়নাঘরের ভিতরের কিছু চিত্র, সূত্র-নেত্র নিউজ 

“আয়নাঘর” বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই নিয়ন্ত্রিত কথিত গোপন বন্দীশালা। তবে ডিজিএফআই কিংবা সরকার বা অন্য কোন রাষ্ট্রীয় সংস্থা গোপন বন্দীশালাটির সত্যতা এখনও স্বীকার করেনি। ভুক্তভোগী ও বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলো আয়নাঘরকে আমেরিকার গোপন কারাগার গোয়ান্তেনামে বে’র সাথে তুলনা করেন এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এই কারাগার বন্ধ কারার দাবী জানান। 

 

সম্প্রতি সুইডেন ভিত্তিক পত্রিকা নেত্র নিউজের অনুসন্ধান ও কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজীপুরের কাপাসিয়ার নাগরিক শেখ মোহাম্মদ সেলিম ও সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন হাসিনুর রহমানের (বীর প্রতীক) স্বীকারুক্তিতে এই তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবী করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও আয়নাঘরের বন্দীত্বের স্বীকার।  

 

নেত্র নিউজের অনুসন্ধান এবং ভুক্তভোগীদের কোথায় জানা যায় কারাগারটির অবস্থান ডিজিএফআই সদরদফতএর পেছনে। যার উত্তরে চৌদ্দতলা বিল্ডিং, দক্ষিণে মেস বি, মাঝখানে মাঠ, পূর্ব পাশে লগ এরিয়া–হেড কোয়ার্টার, পশ্চিম পাশে এমটি শেড এবং উত্তর পূর্ব কোণে ডিজিএফআই’র মসজিদ। গুম হাউজটির পাঁচটা পাঁচটা করে দশটি কক্ষ আছে। প্রতি পাঁচটি কক্ষের সাথে একটি শৌচাগার।  তবে পুরনো ভবনে ষোলটি কক্ষ আছে। লম্বা অন্ধকার ঘরে বন্দীদের আটক রাখা হয়। এক রুম থেকে অন্যরুমে চিৎকার শোনা গেলেও বাইরে থেকে কিছু শোনা যায় না। 

 

সুশীল সমাজ ও আইনজীবীদের মতে ডিজিএফআই কোন আসামীকে যুদ্ধকালীন সময় ব্যতিত আটক ও বন্দী রাখতে পারে না। সেলিমের ভাষ্যমতে বন্দীশালায় অনেকে তথ্য লেখা আছে বেশিরভাগই বলেছে তাদের ডিজিএফআই আটক করেছে। অনেকে তাদের নাম্বার লিখে রেখেছে। সেলিমের ভাষ্যমতে তিনি এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আটক থাকতে দেখেছেন–যারা গুম হয়ে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। সেলিম আরও জানায় আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে হিন্দিতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।